ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা কয়টি দেশ ভ্রমণ করতে পারে ?

ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা কয়টি দেশ ভ্রমণ করতে পারে, বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে কত দেশে ভিসা ছাড়া যাওয়া যায়, ভিসা ছাড়া ভ্রমণ,

ভিসা কি?

ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা কয়টি দেশ ভ্রমণ করতে পারে ? - ব্লগ > একটি ভিসা একটি ভ্রমণ প্রমান যা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি  দেশে প্রবেশ করতে দেয় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, আপনাকে ভ্রমণের আগে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে, হয় কোনো দূতাবাসে, কনস্যুলেটে বা অনলাইনে । কখনও কখনও আপনি ON Arrival Visa পেতে পারেন। ভিসা সাধারণত আপনার পাসপোর্টে লাগানো থাকে এবং আপনি কতক্ষণ থাকতে পারবেন তা উল্লেখ থাকে।

বেশিরভাগ দেশই নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে বিদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা আরোপ করে, বিশেষ করে কারা প্রবেশ করে তা ট্র্যাক রাখতে এবং অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে । ভিসা একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রচেষ্টা হিসাবে ব্যবহার করা হয়, যা একটি দেশে প্রবেশ করা থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকি বন্ধ করে । ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা - ব্লগ >

বাংলাদেশীরা ভিসা ছাড়া কয়টি দেশ ভ্রমণ করতে পারে?

ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা - ব্লগ > VISAGUIDE তথ্য অনুযায়ী অক্টোবর 2023 পর্যন্ত বাংলাদেশী পাসপোর্ট বিশ্বে ১৮৮তম স্থানে রয়েছে । এর মানে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিশ্বের ২০টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন । তবে বাকি দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্ট ধারীদের আগে থেকেই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

2023 সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত, বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারীরা ২০টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন: দেশ গুলো হল,

বাহামাস, বার্বাডোজ, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ডমিনিকা, ফিজি, গ্রেনাডা, হাইতি, জ্যামাইকা, কিরিবাতি, লেসোথো, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাট, নিউ, সামোয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ, গাম্বিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ভানুয়াতু   |

উপরোক্ত দেশ গুলোতে ফ্রি ভিজিট ভিসা পাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার গন্তব্য দেশ অনুযায়ী Health Insurace করা থাকতে হবে, এবং একটি বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে ।

ই ভিসা,  ই পাসপোর্ট, ই ভিসা চেক, ই ভিসা দেখতে কেমন,

কোন দেশ গুলো বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা ইস্যু করে?

বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের জন্য যে ৩৩টি দেশ ই-ভিসা ইস্যু করে: যেমন,

আলবেনিয়া, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, বাহরাইন, বেনিন, বতসোয়ানা, বুর্কিনা ফাসো, ক্যামেরুন, কঙ্গো, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, নিরক্ষীয় গিনি, ইথিওপিয়া, গ্যাবন, গিনি, কাজাখস্তান, কেনিয়া, কিরগিজস্তান, মালাউই, মালয়েশিয়া, মোজাম্বিক ,মায়ানমার, নাইজেরিয়া, কাতার, সাও টোমে এবং প্রিনসিপে, দক্ষিণ সুদান, সুরিনাম, তাজিকিস্তান, যাও, উগান্ডা, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে ।

একটি ই-ভিসা পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়াটি প্রায় অন্যান্য দেশের ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করার মতোই । এই ক্ষেত্রে, ভিসার আবেদন জন্য আপনাকে ভিসা কেন্দ্রে যেতে হবে না- আপনি ভিসার অর্থপ্রদান সহ অনলাইনে আপনার আবেদন জমা দিতে পারবেন । 

ভিসার আবেদন পাশ হওয়ার পর, আপনি একটি ইমেল পাবেন, যেখানে আপনার ভিসার আপডেট নিশ্চিত করা হবে । যদি আপনি ভিসা পেয়ে যান তাহলে সেটি আপনাকে অবশ্যই প্রিন্ট আউট করতে হবে এবং সীমান্ত অতিক্রম করার সময় আপনাকে অবশ্যই সেটা সাথে আনতে হবে । আপনার ভিসার আপডেট অনলাইনে নিবন্ধিত থাকবে, তবে অনেক সময় সেটা চেকিং এর জন্য ভিসা কপিটি দেখতে চাইতে পারে ; তাই ভ্রমণের সময় ভিসা কপিটি সাথে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা - ব্লগ >

বাংলাদেশী জন্য "ON Arrival Visa" ইস্যু করে কোন দেশ গুলো?

বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য নীচে তালিকাভুক্ত ১৮টি দেশের "ON Arrival Visa" পেতে পারেন । দেশ গুলো হল,

ভুটান, বলিভিয়া, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কাবো ভার্দে, কোমোরোস, গিনি-বিসাউ, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, নেপাল, রুয়ান্ডা, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, শ্রীলংকা, তিমুর-লেস্তে, টুভালু ।

বাংলাদেশিদের জন্য উপরোক্ত দেশ গুলো প্রবেশ করার পরে এই ধরনের "ON Arrival Visa" প্রদান করে থাকে । সাধারণত, বিমানবন্দরে একটি পৃথক বিভাগ থাকে যেখানে "ON Arrival Visa" জন্য আবেদন জমা দেওয়া যায় ।

কোন কোন দেশে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের প্রবেশের অনুমতি নেই?

  • ইরাক
  • লিবিয়া
  • সুদান

এই ৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ধারীদের প্রবেশ নিষেধ ।

বাংলাদেশীরা কিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন?

ভিসার জন্য আবেদনের পদ্ধতি, নিম্নরূপ, 

প্রথমতো, স্থানীয় বা পার্শ্ববর্তী ভিসা সেন্টার থেকে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখ নির্ধারণ করতে হবে ‌। যেই তারিখে তোতা বাঁশ বা কনসুলেট টিমের সঙ্গে মিটিং এর শিডিউল কনফার্ম করতে হবে । অনেক সময় এই শিডিউল পেতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে । কিন্তু তারপরেও ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে সেটা অবশ্যই নিতে হবে । 

আপনার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র প্রস্তুতকরণ এবং সেগুলোকে স্থানীয় কোন গেজেট অফিসার দিয়ে সত্যায়িত করতে হবে । যেহেতু অনেক দেশের ভিসা নির্ভর করে সরাসরি ইন্টারভিউ এর উপর, আবার অনেক দেশের ভিসা নির্ভর করে ডকুমেন্টস গুলোর উপর । অবশ্য সেটা দেশ ও দূতাবাসের নিয়ম-কানুন অনুসারে ব্যতিক্রম হতে পারে ।

ভিজিট ভিসা কি, ভিজিট ভিসা কানাডা, ভিজিট ভিসা দুবাই, ভিজিট ভিসায় আমেরিকা,

বাংলাদেশীদের ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?

ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা - ব্লগ > প্রতিটি দেশের ভিসার আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র অবশ্যই জমা দিতে হয় । আগেই বলেছি যেহেতু অনেক দেশের ভিসা নির্ভর করে সরাসরি ইন্টারভিউ এর উপর, আবার অনেক দেশের ভিসা নির্ভর করে ডকুমেন্টস গুলোর উপর । অবশ্য সেটা দেশ ও দূতাবাসের নিয়ম-কানুন অনুসারে ব্যতিক্রম হতে পারে । 

এজন্য যতটা সম্ভব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কাগজপত্র একত্র করে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করাটাই সবথেকে ভালো হবে । তবে এমন বেশ কিছু ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র রয়েছে যেগুলো প্রায় সকল দেশের ভিসার আবেদন করার জন্যই প্রয়োজন হয় নিম্নে সেগুলোর তালিকা দেওয়া হল,

  • আপনার বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট (প্লাস একটি ফটোকপি)। যার মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে । 
  • ভিসার আবেদনপত্র ।
  • ৪ কপি পাসপোর্টের ছবি ।
  • ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা ।
  • প্রদত্ত ভিসা ফি প্রদানের প্রমানপত্র ।
  • বিশদ ভ্রমণ যাত্রাপথ যা দেখায় যে সমস্ত স্থান আপনি দেখতে চান ।
  • আমন্ত্রণ পত্র (যদি প্রযোজ্য হয়) । 
  • ফ্লাইট হোমের জন্য বুক করা রিটার্ন টিকিটের প্রমানপত্র ।
  • বুকিং করা আবাসনের প্রমানপত্র ।
  • বিদেশে ভিজিট করার মত পর্যাপ্ত অর্থ তহবিলের প্রমানপত্র । 
  • সিভিল স্ট্যাটাসের প্রমানপত্র (বিয়ের কাগজপত্র, জন্মের শংসাপত্র, ইত্যাদি)

Next Post Previous Post
No Comment
Comment Here
comment url